লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় ছাত্রলীগ নেতা খান মাহমুদ সুজন ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু গুরুতর আহত হয়েছেন। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউপির মোস্তফার দোকান নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেছেন। খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে এই হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের দুইটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সম্মেলন একসাথে আয়োজন করা হয় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সম্মেলনের সভা চলছিল।
সভা শেষে মোটরসাইকেলযোগে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের দিকে রওনা হন ছাত্রলীগ নেতা খান মাহমুদ সুজন ও কৃষকলীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু। পথে মোস্তফার দোকান নামক স্থানে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। তখন তাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। পরে দলের অন্য নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ নেতা সুজন ও সাজুর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ’
চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দলের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল পাঁচপাড়ায়। সেখান থেকে ফেরার পথে আমার কৃষক লীগের নেতা সাজু ও ছাত্রলীগ নেতা সুজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ’ তিনি অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার দাবি জানান।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম কালামুন্সি বলেন, আমি আজকে বিকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। আওয়ামী লীগের কারোও ওপর হামলার ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে।